সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ঘিরে এবার থাকছে বাড়তি নজরদারি। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার রেশ ধরে মিলাদুন্নবীতে দেশের কোনো এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা তথ্য আছে, এবার অনুষ্ঠান ঘিরে একটি চক্র পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত করছে। এই তথ্য জানার পর দেশের সব জেলার মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়। ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, এটা নিশ্চিত করতে সংশ্নিষ্ট ইউনিট প্রধানকে অবহিত করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবীতে (সা.) যে ধরনের সতর্কতা থাকে, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি নজরদারি থাকবে। গোয়েন্দা তথ্যের পাশাপাশি চলমান ইস্যু বিবেচনায় পুলিশ তার নিরাপত্তা ছক সাজিয়েছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানটি ঘিরে দেশের বাইরে থেকেও আলেম-ওলামাদের দাওয়াত দেওয়া হয়। তারা বাংলাদেশে এসে ওয়াজ করেন। পুরো বিষয়গুলো এক ধরনের মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে।
সংশ্নিষ্ট আরেক কর্মকর্তা বলেন, উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে যারা অতীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে, তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি তীক্ষষ্ট নজর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া যারা তাদের পেছন থেকে ইন্ধন ও অর্থ সহায়তা দিয়ে বড় ধরনের নাশকতায় জড়ায়, তারাও আছে গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মধ্যে। ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, অতীতে অনেক সময় দেখা গেছে, দেশে কোনো একটি বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে সেটাকে পুঁজি করে অনেকে ফের পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। এবার যাতে এমন কিছু না ঘটে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সব সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে। অহেতুক কাউকে রাস্তায় বের হতে দেওয়া হবে না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া শত শত লোক জড়ো করে ধর্মভিত্তিক কোনো উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেওয়া হলে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এবিএ/০৩